ডিমের মগজ

ঢাকা শহরে যারা(স্টুডেন্টস) একলা থাকে, হতে পারে সেটা কোন হোস্টেলে অথবা কোন ভাড়া বাড়িতে। ডিম ভাজি(অমলেট) তাঁদের প্রধান খাবার হয়ে যায়। মাছে-ভাতে বাঙ্গালী হলেও, এ নগরীর সব ছাত্র-ছাত্রীরা ডিম ভাজি-ভাতে স্টুডেন্টস হয়ে যায়। এর থেকে শর্টকাট অথবা রেডি মেইড খাবার আর হয় না। রান্না করতেও যেহেতু বেশি সময় লাগে না। চটজলদি করা যায়। আবার ম্যাক্সিমাম স্টুডেন্টস মফস্বল থেকে আসা কিনা তাঁদের ভাত না খেলে তো পেটই ভরে না। কাজেই ক্ষুধার সময় এক প্লেট গরম ভাত সাথে একটা ডিম ভাজি যেন অমৃত লাগে। স্বর্গের সুখ। কিন্তু, এই একই মেন্যু কতদিন খাওয়া যায়? ভালও লাগে না এক খাবার বারবার খেতে, কিন্তু কিছু করারও থাকে না। ডিমই ভরসা সাথে আলু ভর্তাটাও চলে। যাই হোক ঘুরে ফিরে তো এইগুলাই।

অবস্থা এমন যে  কারো কারো কাছে এই ডিম খেতে খেতেই প্রিয় হয়ে যায়। যে ডিম পছন্দ করে না সেও ডিমকে সানন্দে মেনে নেয়, ভালবেসে ফেলে- পরম বন্ধু হয়ে যায়। তো কেউ কেউ শুরু করে দেয় ডিম ভাজি নিয়ে গবেষণা অর্থাৎ কতভাবে ডিমকে ভাজি করা যায় এবং কী নামে ডাকা যায় নতুন ডিম ভাজিকে। সেরকমই একটা রেসিপি, যার নাম- ডিমের মগজ। 😻

ডিমের মগজ রান্নার রেসিপি-


  • প্রথমে পেঁয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কাটতে হবে সাথে কাঁচামরিচ কুঁচি করে নিতে হবে। একটা ডিমে আসলে একটা কাঁচামরিচই যথেষ্ট, কিন্ত কেউ ঝাল বেশি খেলে কাঁচামরিচ দুটো নিতে পারেন। আর সাথে সামান্য লবণ। 
  • এরপর ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিবেন। তেল একটু গরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুঁচি-কাঁচা মরিচ কুঁচি সাবধানে ছেড়ে দিবেন। চুলাটা কমিয়ে নিয়ে তারপর ছেড়ে দিবেন। পেঁয়াজ কুঁচি-কাঁচা মরিচ কুঁচি হালকা একটু উল্টে-পাল্টে দেয়ার পর লবণ দিবেন। আর একবার নাড়াচাড়া দিয়ে ডিমটা ভেঙ্গে দিবেন এবং ডিমটা ভেঙ্গে দেয়ার সাথে সাথে একটু তাড়াতাড়িই বেশি নাড়াচাড়া করে পুরো পেঁয়াজ-মরিচ-ডিম ভেঙ্গে চুরমার করে দিবেন। তারপর মিনিট দুয়েকের মতো হালকা আঁচে ভেজে চুলা বন্ধ করে দিবেন। এই তো হয়ে গেল মজাদার ডিমের মগজ। 😋 তারপর গরম ভাতের সাথে অথবা রুটির সাথে খেতে পারেন। নিচে আমার রান্না করা ডিমের মগজের ছবি সংযুক্ত।  

No comments

Powered by Blogger.