ন হন্যতে

"ন হন্যতে" পড়েছি সেটাও বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে, কিন্তু এ নিয়ে একটু লিখে রাখবো সেই সময় আর হয় না। লিখতে আলসেমিও লাগে। আজকে লিখি একটু- আমি কোন রিভিউ দিচ্ছি না। এই বই পড়তে গিয়ে আমার কী হয়েছিল তাই লিখছি-

এটি একটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। লেখিকা তাঁর কিশোরী বয়সের একটা অপরিণত সম্পর্ককে কীভাবে পরিণত করেছে, বাঁচিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন মনের গহীনে, এবং সময়ের সমুদ্রে ভালবাসা কিঞ্চিৎ পরিমাণেও হারিয়ে যায়নি বরং বেড়েছে। আমার তো বিজ্ঞান পছন্দ তাই ঘুরে ফিরে আমি এখানেও বিজ্ঞানকে টেনে নিয়ে আসব। হ্যাঁ, এই বইয়ে আমি পেয়েছি অরিজিনাল টাইম ট্র্যাভেল। এ যেন পিউর থিউরি অব রিলেটিভিটি- ১৯৭২ এ পা রেখেও ১৯৩০ এ দিব্যি ঘুরে বেড়ানো মানে আমি এখানে কিন্তু আমি আসলে এখানে নাই।

আমার মন বরাবরই গভীর পছন্দ করে। বিরহ পছন্দ করে। কাজেই এই বই পড়তে পড়তে কত কত জায়গায় আমার পুরাই আলুথালু অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। এতো গভীরতায় মোড়ানো লেখনি যে বারে বারে ছুঁয়ে গেছে আমাকে। ভালবাসা এমনই হওয়া উচিত। "ন হন্যতে" যার অর্থ আত্মার সম্পর্ক, দেহের না এবং লেখিকা ঠিকই বলছে- প্রেমের আলোর সীমানা নেই।