DDR3 আর DDR4

RAM এর পূর্ণরূপ Random Access Memory. একে ভোলাটাইল মেমরি বলা হয়, অর্থাৎ অস্থায়ী মেমরি। কারণ আপনি যখন কম্পিউটার বন্ধ করে দেন তখন র‍্যাম সব ভুলে যায়। আবার যখন কম্পিউটার চালু করেন তখন এই র‌্যাম বেশকিছু প্রোগ্রাম ধারণ করে যা আপনার অপারেটিং সিস্টেম কে চলতে সাহায্য করে।
মূলত ২ ধরণের র‍্যাম পাওয়া যায়।
  • SD (Synchronous Dynamic)
  • DDR (Double Data Rate)
র‍্যামের এই ধরনের মধ্যে আমরা DDR- Double Data Rate টাইপ র‍্যাম ব্যবহার করে থাকি। এজন্যে DDR1, DDR2, DDR3, DDR4 নামকরণ করা হয়েছে। তো এখন টেকনোলোজির জরিপ অনুযায়ী বলা যায়, ২০০৭ এর পরে যত নতুন কম্পিউটার কেনা হয়েছে সেই কম্পিউটারের র‍্যাম DDR3 টাইপ। বুঝতেই পারছেন এর আগে DDR2 ছিল। এরপর মোটামোটি 6th জেনারেশনের প্রসেসর থেকে DDR4 ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শুধু প্রসেসর আপডেট জেনারেশন হলেই হবে না, আপনার মাদারবোর্ড কোন ধরনের র‍্যাম সাপোর্ট করে সেটাও জানতে হবে।
DDR3 আর DDR4 এর মধ্যে পার্থক্য—
  • DDR3 ট্রান্সফার রেট 800-2133 MT/s (Millions of Transfers per second).
  • অনেক কম শক্তিতে কাজ করে। মাত্র ১.৫ ভোল্টে চলতে পারে।
  • ৪০০-১০৬৬ মেগাহার্জ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

DDR4
  • এর গতি অবশ্যই DDR3 থেকে বেশি। যার মিনিমাম ক্লক স্পিড ২১৩৩ অর্থাৎ, যেটি DDR3 এর ম্যাক্সিমাম ছিল। DDR4 এর কোন ম্যাক্সিমাম স্পিড উল্লেখ করা নাই।
  • মাত্র ১.২ ভোল্টে চলে।
  • ৮০০-১৬০০ মেগাহার্জ।
  • দাম DDR3 থেকে বেশি।

No comments

Powered by Blogger.